Rabindranath for Bread

Rabindranath for Bread: A Philosopher’s Vision (রুটির জন্য রবীন্দ্রনাথ: এক দার্শনিকের দৃষ্টি)

This is the Dramatic Version created by Gemini. The name “Rabindranath for Bread” (“রুটির জন্য রবীন্দ্রনাথ”) carries a symbolic meaning, where bread refers to the basic need or the daily reality of human life. The main theme was taken from M. Nahid Sir. Furthermore, please visit the “Poem Collections from M. Nahid” page to read our collections. You can also read other Ai Generated stories here.

However, let’s see the drama of “Rabindranath for Bread”

রুটির জন্য রবীন্দ্রনাথ: একটি নাট্যরূপ

চরিত্র:

রবীন্দ্রনাথ: প্রাজ্ঞ, সহানুভূতিশীল, গভীর চিন্তাবিদ।

করুণা: একজন দরিদ্র গ্রাম্য নারী, অভাবে জর্জরিত।

নন্দলাল: একজন যুবক কৃষক, মহাজনের ঋণে জর্জরিত।

সুলতা: একজন তরুণী শিক্ষিকা, সমাজে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী।

শান্তশীল বাবু: একজন স্থানীয় জমিদার, যিনি প্রথাগত চিন্তাভাবনার ধারক।

গ্রামবাসী ১, ২, ৩: সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

দৃশ্যাবলী:

প্রথম দৃশ্য: জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি (একটি সকাল)

(মঞ্চে রবীন্দ্রনাথকে একটি আরামকেদারায় বসে হাতে একটি বই নিয়ে দেখা যাচ্ছে। তাঁর সামনে সুসজ্জিত সকালের জলখাবার। তিনি আলস্যে বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছেন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে ভেসে আসা পাখির ডাকে কান দিচ্ছেন।)

রবীন্দ্রনাথ: (স্বগত) আহা, কী শান্ত পরিবেশ! সকালের এই আলো, এই পাখির গান— জীবনের প্রকৃত আনন্দ এইখানেই। কিন্তু এই আনন্দের পূর্ণতা কি সবার জন্য? আমি এই সুর, এই সৌন্দর্য উপভোগ করছি, কিন্তু দূরে কত মানুষ এক মুঠো অন্নের জন্য হাহাকার করছে। আমার এই স্বাচ্ছন্দ্য কি তাদের ক্ষুধার্ত আর্তনাদের উপরে নির্মিত?

(ভৃত্য এসে খাবার ঠিক করে দেয়। রবীন্দ্রনাথ খাবারের দিকে একপলক তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।)

রবীন্দ্রনাথ: (ভৃত্যকে) আচ্ছা, আমাদের গ্রামে আজ কেমন চলছে? গতবার যখন গিয়েছিলাম, দেখেছি কিছু মানুষের অবস্থা বড়ই শোচনীয়।

ভৃত্য: আজ্ঞে, যা চলে গুরুদেব। অভাব তো লেগে আছেই। গত সপ্তাহে করুণা বিবি এসেছিলেন, তাঁর ছোট ছেলেটার নাকি জ্বর, ঘরে চাল নেই।

রবীন্দ্রনাথ: (চিন্তিত হয়ে) চাল নেই? এই ভরা বর্ষাতেও? এ তো ঘোর দুর্দিন। এই যে রুটি, যা আমাদের কাছে নিত্য নৈমিত্তিক, সাধারণ একটি ব্যাপার, কত মানুষের কাছে তা আকাশের চাঁদের মতোই দুর্লভ। নজরুল তো ঠিকই বলেছিল, ‘পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’! ওদের কাছে চাঁদও অর্থহীন, যদি তা পেট না ভরায়।

Nothing to Eat
Nothing to Eat

দ্বিতীয় দৃশ্য: শান্তিনিকেতনের আশ্রমে (দুপুর)

(রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছাত্রদের সাথে কথা বলছেন। কিছু গ্রামবাসী, করুণা ও নন্দলাল তাদের সমস্যার কথা জানাতে এসেছে।)

করুণা: গুরুদেব, আমার ছেলেটা তো বাঁচলো না। জ্বর আর ক্ষিদে, দুটোতেই কাবু হয়ে গেল। একটা রুটি, শুধু একটা রুটির জন্য!

(রবীন্দ্রনাথের মুখে গভীর বেদনার ছাপ। তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান এবং করুণার দিকে হাত বাড়ান।)

রবীন্দ্রনাথ: (ধীরে ধীরে) রুটি… শুধু খাদ্য নয়, করুণা। রুটি জীবনের অধিকার। একটা শিশুর বাঁচবার অধিকার। যখন একটি শিশু খাদ্যের অভাবে প্রাণ হারায়, তখন কেবল তার শরীরই মরে না, একটি স্বপ্ন মরে, একটি সম্ভাবনা মরে, আর মরে মানবজাতিরই এক অংশ। আমাদের সমৃদ্ধি যদি এই নিরন্ন মানুষের বেদনার উপর দাঁড়িয়ে থাকে, তবে সে সমৃদ্ধি মিথ্যা।

নন্দলাল: (কষ্টে) গুরুদেব, আমার জমিটা মহাজন নিয়ে যাচ্ছে। গতবারের ফসলে ঋণ শোধ হয়নি। এই জমিই আমাদের রুটি। জমি না থাকলে আমরা বাঁচবো কী করে?

রবীন্দ্রনাথ: (শান্ত, কিন্তু দৃঢ় স্বরে) তোমার জমি শুধু মাটি নয়, নন্দলাল। ওটা তোমার শ্রমের ফসল, তোমার বংশপরম্পরার স্মৃতি, তোমার ভবিষ্যতের আশা। জমি হারানোর অর্থ শুধু রুটি হারানো নয়, আত্মমর্যাদা হারানো, অস্তিত্ব হারানো। এই অপমান মেনে নেওয়া যায় না।

(শান্তশীল বাবু, একজন স্থানীয় জমিদার, মঞ্চে প্রবেশ করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের কথা শুনে বিরক্ত হন।)

শান্তশীল বাবু: গুরুদেব, এ তো জগতের নিয়ম। কেউ ধনী, কেউ গরিব। সবকিছুর জন্য এত চিন্তা করে কী হবে? ওদের কপালে যা লেখা আছে, তাই তো হবে।

রবীন্দ্রনাথ: (চোখ তুলে শান্তশীল বাবুর দিকে তাকান) আপনার মতো মানুষের এই ধারণাই আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় অভিশাপ, শান্তশীল বাবু। ‘কপালে লেখা’ বলে আমরা নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাই। ক্ষুধার্ত মানুষ যখন এক মুঠো রুটির জন্য কাঁদে, তখন তাদের কপালে কী লেখা থাকে? মৃত্যু? তাহলে আমরা কেন এই পৃথিবীতে আছি, যদি আমরা একে অপরের দুঃখ লাঘব করতে না পারি?

শান্তশীল বাবু: কিন্তু গুরুদেব, আমরা তো আর সবাইকে খাইয়ে দিতে পারি না।

রবীন্দ্রনাথ: খাইয়ে দেওয়ার কথা আমি বলছি না। আমি বলছি, তাদের সেই সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা, যাতে তারা নিজেরা নিজেদের রুটি অর্জন করতে পারে। তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এই যে জমি, এই যে ফসল – এগুলো শুধু ভোগ করার জন্য নয়, এগুলো সমাজের সবার জন্য। যখন এই সম্পদের বণ্টন অন্যায্য হয়, তখনই ক্ষুধার্তের হাহাকার ওঠে।

Who Cares!
Who Cares!

তৃতীয় দৃশ্য: গ্রামের পাঠশালা (বিকেল)

(সুলতা তার ছাত্রদের পড়াচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ সেখানে আসেন। তিনি ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে হাসেন।)

রবীন্দ্রনাথ: (সুলতার দিকে তাকিয়ে) তুমি খুব ভালো কাজ করছো, মা। এই শিক্ষা, এই জ্ঞানই একদিন এই মানুষের জীবনে সত্যিকারের রুটি এনে দেবে।

সুলতা: কিন্তু গুরুদেব, শুধু শিক্ষা দিয়ে কী হবে? পেট না ভরলে তো বিদ্যাও কাজে লাগে না।

রবীন্দ্রনাথ: ঠিক বলেছ। কিন্তু শুধু পেট ভরলে তো আর মানুষ হয় না। মানুষ হতে হলে তার আত্মিক মুক্তি চাই। খাদ্য আমাদের শরীরকে বাঁচিয়ে রাখে, আর শিক্ষা আমাদের আত্মাকে মুক্তি দেয়। রুটি আর শিক্ষা, এ দুটি হাত ধরাধরি করে চলবে। যখন মানুষ বুঝবে যে, তার রুটি শুধু অন্যের দয়ার উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তার অধিকার এবং তার শ্রমের ফসল, তখনই সে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখবে।

গ্রামবাসী ১: (উৎসাহিত হয়ে)

তাহলে আমাদের কী করতে হবে, গুরুদেব?

রবীন্দ্রনাথ: তোমাদের নিজেদের সম্মিলিত শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। শুধু ভিক্ষা করে বাঁচা নয়, নিজেদের জন্য কাজ করতে হবে। কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে, কুটির শিল্প গড়ে তুলতে হবে। সমবায় প্রথার মাধ্যমে তোমরা নিজেরা নিজেদের মহাজন হতে পারো। আমি জমিদারী পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যখন মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকে, তখন তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

গ্রামবাসী ২:

কিন্তু আমরা তো গরিব মানুষ, অত বুদ্ধি কি আমাদের আছে?

রবীন্দ্রনাথ: তোমাদের মনে সেই শক্তি আছে, সেই স্পৃহা আছে। শুধু তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

দারিদ্র্য শুধু অন্নহীনতা নয়, দারিদ্র্য মনের দৈন্য। সেই মনের দৈন্য দূর করতে হবে।

আমি আমার জীবনে যা পেয়েছি, তা আমার পূর্বপুরুষদের দান। কিন্তু আমি জানি, এই সম্পদকে যদি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ভোগে ব্যয় করা হয়, তবে তা অভিশাপে পরিণত হয়।

আমার এই জমিদারীর আয় আমি মানুষের কল্যাণে লাগাতে চেয়েছি, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি উন্নয়নে ব্যয় করতে চেয়েছি।

আমার বিশ্বাস, এইভাবেই সম্পদের সার্থকতা।

(রবীন্দ্রনাথ আকাশের দিকে তাকান।)

রবীন্দ্রনাথ: ক্ষুধার্ত পৃথিবী গদ্যময় হয়, যখন মানুষ রুটির অভাবে দিশেহারা। কিন্তু সেই গদ্যময় পৃথিবীতেও সুর ফিরিয়ে আনা সম্ভব, যদি মানুষ তার মানবিকতাকে না হারায়, যদি পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতা বজায় রাখে। আমার কাছে রুটি কেবল খাদ্য নয়, রুটি মানুষের আত্মমর্যাদার প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক। যখন প্রতিটি মানুষ তার নিজের রুটি অর্জন করতে পারবে সসম্মানে, তখনই আমার মানবতাবাদী দর্শন পূর্ণতা পাবে।

সবাই রবীন্দ্রনাথের কথা মুগ্ধ হয়ে শোনে।

তাদের মুখে নতুন আশার আলো দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ তাদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসেন। পর্দা নামে।

নাটকের মূল বার্তা:

এই নাটকে রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিগতভাবে খাদ্যের অভাব বা “রুটি”র কষ্ট ভোগ করেননি।

কিন্তু তিনি এই বিষয়টিকে তাঁর গভীর মানবতাবাদী ও দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করছেন। ঠিক যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন আমার গুরু মির্জা নাহিদ  হোসেইন।

তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন:

  • রুটি শুধু খাদ্য নয়, এটি জীবনের মৌলিক অধিকার: খাদ্যের অভাবকে তিনি শুধু শারীরিক ক্ষুধা হিসেবে দেখেননি। বরং এটিকে মানব অস্তিত্বের একটি অপরিহার্য অংশ এবং বেঁচে থাকার অধিকার হিসেবে দেখেছেন।
  • দারিদ্র্য শুধু অন্নহীনতা নয়, আত্মমর্যাদার সংকট: তিনি উপলব্ধি করেন যে দারিদ্র্য শুধু শরীরকে কষ্ট দেয় না, মানুষের আত্মসম্মানবোধকেও কেড়ে নেয়।
  • শিক্ষাই মুক্তির পথ: তাঁর মতে, শিক্ষা কেবল জ্ঞানার্জন নয়, এটি মানুষকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। একই সাথে তাদের আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায়। যা শেষ পর্যন্ত “রুটি” অর্জনে সাহায্য করে।
  • সম্পদের সুষম বণ্টন ও সামাজিক দায়িত্ব: রবীন্দ্রনাথ তাঁর নিজের জমিদারী পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখিয়েছেন যে সম্পদের সার্থকতা তখনই, যখন তা শুধু ব্যক্তিগত ভোগে ব্যয় না হয়ে সমাজের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়।
  • সহানুভূতি ও সহযোগিতার গুরুত্ব: তিনি বিশ্বাস করেন যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংহতির মাধ্যমেই মানুষ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং একটি ন্যায্য সমাজ গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কোনো মানুষেরই “রুটির” জন্য কষ্ট পেতে হবে না।

Conclusion and the most important message of “Rabindranath for Bread”

“Rabindranath for Bread” shows Rabindranath’s view, which my teacher Mirza Nahid Hossain also shares. This view is that he does not feel pain directly. Instead, his wisdom and also empathy allow him to deeply understand pain and offer a thoughtful, philosophical answer. Due to they more sense this, they also act as our mentors. And as Nazrul Followers, we begin preparing foods in our brains as soon as we see the sun and moon.